চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানাধীন জমজমাট জুয়ার আসর ? Bangladesh Bangladesh Times 24 প্রকাশিত: ৩:০৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক ভরদুপুর, সূর্য যেন ঠিক মাথার উপর থেকে তা দিচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ একটু ছায়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ঠিক তখনই চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপি পুলিশের বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই খালপাড় লবণ ফ্যাক্টরি রোডের পাশেই কাঠফাটা রোদ উপেক্ষা করে আমেনা বেগম (ছদ্মনাম) নামক এক গৃহিণী অশ্রুসিক্ত চোখে তার স্বামীকে খুঁজতে এসেছে আর কিছুক্ষণ পরপর চাক্তাই খালপাড় লবণ ফ্যাক্টরি রোডের কুলিং কর্ণার এর পাশের গলির ভিতরে ফরিদ মিয়ার বাড়ির ভিতরে যাচ্ছেন আবার বেরও হচ্ছেন । তার পাশে গিয়ে দাঁড়ালে শোনা যায়, তিনি কোন এক আত্মীয়কে যেন মোবাইল ফোনে কান্না করছেন ও বলছেন গতকাল রাতে তাকে মারধর করে তার বাবার দেওয়া স্বর্ণ অলংকার নিয়ে আসছে জুয়ার আসরে। ঠিক ১০ মিনিট পরই বাকলিয়া থানাধীন পুলিশের টহল গাড়ি এসে ডিউটি অফিসার মুঠোফোনে কোন এক ব্যক্তিকে ফোন দেওয়ার কিছুক্ষণ পর ফরিদ মিয়ার বাড়ির ভিতর থেকে এক ব্যক্তি বেড় হয়ে টহল গাড়ির ডিউটি অফিসার”কে পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে হাতের মুঠোয় দিলেই পুলিশের টহল গাড়ি স্থান ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টাইমস্ এর প্রতিবেদক অনুসন্ধান করলে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা জুয়ার আসর গুলো দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বাকলিয়া থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে ফের চালু হয়েছে বাকলিয়া থানাধীন চাক্তাই খালপাড় লবণ ফ্যাক্টরি রোডের কুলিং কর্ণারের পাশে গলির ভিতরে ফরিদ মিয়ার বাড়ির ভিতর জমজমাট জুয়ার আসর ! লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয় এই জুয়ার আসরে। শুধু জুয়াতে শেষ নয়, এই জুয়ার আসরে মিলে ইয়াবা নামক মাদকও সেবনের সুযোগ রাখা হয় জুয়াড়িদের জন্য আর এসকল জুয়া খেলা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন ফিরুজ ও ফরিদ সিন্ডিকেট । খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, সকাল থেকে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শতশত মানুষের সমারোহ বাহারী নামের জুয়া চালিয়ে আসছে ফিরুজ ও ফরিদ সিন্ডিকেট এবং এই জুয়ার আসরে নেই কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান এনিয়ে স্থানীয় বাকলিয়া থানাধীন খালপাড় লবণ ফ্যাক্টরি এলাকাবাসীর মধ্যে বাকলিয়া থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ? সংশ্লিষ্টরা বলছে, আইনে জুয়ার যে ধারা রয়েছে তা অত্যন্ত দুর্বল। ফলে দিনে দিনে জামিনে বেরিয়ে যায় আটককৃতরা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন জুয়া নিয়ন্ত্রনকারী ফিরুজ ও ফরিদ সিন্ডিকেটের সাথে বাকলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গভীর সুসম্পর্ক এলাকাবাসী আরো আক্ষেপ করে বলেন, থানা পুলিশকে বললে আর কি হবে বাকলিয়া থানার ডিউটি পুলিশের গাড়ি প্রতিদিনই এসে টাকা নিয়ে যায় এছাড়াও কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পায়না এই জুয়ার আসর পরিচালনার জন্য ফিরুজ ও ফরিদ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং । এবিষয়ে বাকলিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর কাছে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে মন্তব্য সম্ভব হয়নি। সত্য ঘটনা প্রকাশে আপোসহীন বাংলাদেশ টাইমস্ আপনার পাশে যেকোন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য আমাদের জানাতে পারেন । মুঠোফোন : +৮৮০ ৯৬৩৮৪৯০১৯০ ই-মেইল : info@bangladeshtimes24.net SHARES অপরাধ বিষয়: