রাজধানীর মিরপুরে ইকো পার্কে পার্কে লটারি নামক জুয়া ?

প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩

 

বিশেষ প্রতিবেদক
অপূর্ব হাসান

প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা নদী বন্দরের লিজকৃত দারুস সালাম থানাধীন ইকো পার্কে প্রকাশেই চলছে জমজমাট লটারি নামক জুয়া হাজার হাজার মানুষের সমারোহ জমজমাট লটারি নামক জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে ইজারাদার।

ইকো পার্কের গেট টিকিটের নামে চলছে জমজমাট লটারি নামক জুয়ার টিকিট ক্রেতা অধিকাংশ তরুণ প্রজন্ম ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা এসকল লটারি নামক জুয়া প্রলোভনে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে মিরপুর এলাকার নিম্ম আয়ের জনসাধারণ ও তরুণ যুবসমাজ ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মিরপুর বড়বাজার স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও একজন নামধারী সংবাদকর্মী পরিচয় ব্যবহার করে লটারি নামক জুয়া চালিয়ে আসছে ইকো পার্কের প্রবেশ মুখেই রয়েছে বিভিন্ন পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে জুয়ার আসর আর ভিতরে প্রবেশ করতেই লটারি ষ্টেজে বিভিন্ন প্রলোভন প্রচার করা হচ্ছে ।

লটারি নামক জুয়া খেলার চক্রটি মিরপুর এলাকার একাধিক থানা গুলোতে শতাধিক অটোরিকশা যোগে প্রচন্ড শব্দে মাইকে বিভিন্ন লোভনীয় প্রলোভন দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এছাড়াও মিরপুর এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর অধিকাংশ নিম্ম আয়ের মানুষ প্রলোভনে পরে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা এবং তরুণ যুবসমাজ।

তবে এই মেলার নামে এসব জুয়া এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের প্রশাসনের নেই কোনো নজরদারি ও তৎপরতা। এতে ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন মিরপুর এলাকার একাধিক সুশীল সমাজ। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক।

এদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায় এই ইকো পার্কের নামে এসকল লটারি ও জুয়ার আসর গুলো পার্কের ইজারাদার এবং বাবুল নামক ব্যক্তি সংবাদকর্মী পরিচয় ব্যবহার করে প্রবেশ মুখেই জুয়া ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে আসছে অনুমতিবিহীন প্রতিদিন র‍্যাফেল ড্র লটারি নামক জুয়া

এছাড়াও রাজধানীর মিরপুর এলাকার সচেতন সমাজের অভিযোগ ,প্রশাসনের চোখের সামনে শতশত মাইক বাজিয়ে মিরপুর জুড়ে লটারি নামক জুয়া চললেও কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

এসকল বিষয়ে আইন সহায়তা কেন্দ্র (ডিপিবিএল) মিডিয়া পরিচালক, আকাশ মাহাবুব তিনি প্রতিবেদক”কে জানান উক্ত সংস্থা থেকে ঢাকা নদী বন্দর ” কে অবগত করা হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।

বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

বিস্তারিত থাকছে আগামী প্রতিবেদনে ,,,,,,,,