মিরপুরে আবাসিক হোটেল আল মামুনের আড়ালে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড Bangladesh Bangladesh Times 24 প্রকাশিত: ১০:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৪ নিজস্ব প্রতিবেদক ধারাবাহিক প্রতিবেদন ( ১) বেপরোয়া হয়ে উঠছে আবাসিক হোটেলের আড়ালে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ড। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সামনেই নানা পন্থায় চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। এতে চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন হোটেলে ওঠা সাধারণ বোর্ডাররা। অনেকের অভিযোগ, মনে হয় অসামাজিক কর্মকাণ্ড চালাতেই যত্রতত্র গড়ে উঠছে এসব আবাসিক হোটেল। এতে মানুষের মাঝে আবাসিক হোটেল সম্পর্কে বাজে ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ টাইমস্ এর ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর শাহ্ আলী থানা এলাকার মিরপুর ১নং বাগদাদ শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত হোটেল আল মামুন নামক আবাসিক হোটেলে চলা অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নানা অভিযোগ পাওয়া যায় । মিরপুর এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের অভিযোগ রয়েছে মিরপুর ১নং অবস্থিত বাগদাদ শপিং কমপ্লেক্সের ১০ম তলায় হোটেল আল মামুন নামক আবাসিক হোটেলে দিন-রাতে অবাধে চলছে দেহব্যবসা এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অসামাজিক কার্যকলাপ করতে ঘন্টা চুক্তি রুম ভাড়া দিয়ে আসছে । পুলিশের সামনেই প্রভাবশালী একটি মহল এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ যেনো দেখেও না দেখছে কোন এক অদৃশ্য কারণে এমনটাই মনে করছেন মিরপুর শাহ্ আলী থানার বাসিন্দারা অবাধে দেহব্যবসা চলায় স্থানীয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী জড়িয়ে পড়ছে এই পেশায়। আবার অর্থের অভাবে অনেক নিম্নও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূরাও কাজে এই যুক্ত হচ্ছে। আবার কেউ কেউ হোটেলের দালালদের খপ্পরে পড়ে বাধ্য হচ্ছে এই ব্যবসায়। এসব দালাল হোটেলের আশপাশে ঘুরঘুর করে খদ্দের সংগ্রহ করে। তারা রাস্তায় চলমান মানুষদের কাছে ছোট্ট করে কিছু লাগবে নাকি, নতুন আছেসহ অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে। যাতে অনেক পথচারীই বিরক্ত প্রকাশ করে থাকেন। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ হোটেল আল মামুন সহ মিরপুর ১নং এলাকার হোটেল গুলোর কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় কিন্তু আবাসিক হোটেলের নামে আড়ালে তাদের প্রধান কাজ তারা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে । পরিস্থিতি সামাল দেয়া না হলে খুব অল্প বয়সে স্কুল ও কলেজে পড়া ছাত্ররা এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও যুব সমাজ ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে বলেই আশঙ্কা করেছেন এলাকার জনসাধারণ। এছাড়াও বাগদাদ শপিং সেন্টারের পাশেই রয়েছে মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী স্কুল এন্ড কলেজ এবং তার সাথেই আন-নূরী জামে মসজিদ, স্কুল ও মসজিদের পাশেই কিভাবে এসকল অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড হয় এ নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন ও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে জনসাধারণের মধ্যে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় , হোটেলটি পরিচালনাকারী মো: মামুনের রাজধানীতে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল তার মূল ব্যবসা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের যৌন কাজ করতে বাধ্য করা আর এতে করে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা বেশ কয়েক বছরে তিনি হয়ে উঠেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। এসকল বিষয় নিয়ে দির্ঘদিন যাবত কাজকরে আসছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সংস্থাটির আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহিন আলম এর মুঠোফোনে এসকল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ টাইমস্”কে জানান রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অর্ধশতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে যে সকল হোটেল গুলোতে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কোন ছাড় পত্র নেই এদের মূল ব্যবসা হলো বিভিন্ন জেলা পর্যায় থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদের চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে যৌন কাজ করতে বাধ্য করে থাকে এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি টাকার বিনিময়ে ঘন্টা চুক্তি অনুযায়ী অসামাজিক কার্যকলাপ করতে রুম ভাড়া দিয়ে থাকে আমাদের সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী হোটেল আল মামুন মালিকের পল্লবী এলাকায় আরও একটি হোটেল রয়েছে আর এই হোটেল দুটিতে যৌন কাজই মূল ব্যবসা হোটেল আল মামুন মালিকের ইতি মধ্যে আল মামুন সহ মিরপুর এলাকার একাধিক হোটেলের তথ্য সংগ্রহ করেছি বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থে আদালতে দ্বারস্থ হবে এমনটাই জানিয়েছেন সংস্থাটি আইন উপদেষ্টা। এবিষয়ে জানতে ডিএমপি পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এসকল অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। আপনার চার পাশে যেকোন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য আমাদের জানাতে পারেন বাংলাদেশ টাইমস্ আপনার পরিচয় গোপনীয়তা রক্ষা করবেন। যোগাযোগ: info@bangladeshtimes24.net +880 9638 490 190 SHARES অপরাধ বিষয়: