রাজধানীর রুপনগরে প্রকাশেই মাদক ও জুয়ার স্বর্গরাজ্য?

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৪
  • * কাঠের চশমায় যেনো ধরেছে মরিচা ?
    * আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের তথ্য আগেই জানেন সিন্ডিকেট গুলো !
    * রহিম সিন্ডিকেট ও সোর্স শাহজাহান সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং ?

 

আরিফুর রহমান || বাংলাদেশ টাইমস্

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলনীতিগুলোর অন্যতম একটি জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা। জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা হানিকর এমন সব কাজ সংবিধানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জুয়া খেলা একটি অনৈতিক কাজ। সংবিধানে বলা হয়েছে- জুয়া খেলা নিরোধে রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জুয়া হরেক রকমের হয়ে থাকে। যেমন- তাস দিয়ে, ঘোড়দৌড়ের বাজির,মাধ্যমে, ক্রিকেট, ফুটবল প্রভৃতি খেলায় কোন দল জিতবে এ নিয়ে বাজি ধরা, কেসিনো, হাউজির মাধ্যমে জুয়া খেলা প্রভৃতি। উপরোক্ত সব ধরনের জুয়াখেলাই আমাদের সংবিধান এবং দেশে প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ।

সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান শুদ্ধি অভিযানের রাজধানীর খ্যাতনামা ক্লাবগুলো হানা দিয়ে বেশ কয়েকজন জুয়া বানিজ্যের গডফাদারসহ বিপুল সংখ্যক জুয়ারি ও ক্ষমতাশালীন দলের প্রভাবশালী নেতাদেরও ছাড় দেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকেও গ্রেপ্তারের পর আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

যখন ক্লাবপাড়ার জুয়ার আসর গুলো বন্ধ সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দির্ঘদিন যাবত রাজধানীর ডিএমপি পুলিশের মিরপুর বিভাগের রূপনগর থানাধীন রহিম সর্দার সিন্ডিকেট ও কথিত সোর্স শাহজাহান সিন্ডিকেটের প্রকাশ্যেই জুয়া ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে দির্ঘদিন যাবত আর এতে সহায়তা করে আসছে রুপনগর থানার কতিপয় কিছু পুলিশ সদস্য আর সেই সুযোগ কে ব্যবহার করে রহিম সিন্ডিকেট ও সোর্স শাহজাহান সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং অন্যদিকে রহিম সর্দার ক্ষমতাশালীন দলের নেতা পরিচয়ে দির্ঘদিন যাবত
প্রশাসনের কতিপয় কিছু সদস্যদের সু সম্পর্ক রেখে বছরের পর বছর মাদক ও জুয়া সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড করে আসছেন !

রহিম ও শাহজাহান সিন্ডিকেটের আসরে,
শুধু জুয়াতে শেষ নয়, এসব আসর গুলোতে মিলে ইয়াবাও। মাদক সেবনের সুযোগ রাখা হয় জুয়াড়িদের জন্য। পুলিশ ও র‌্যাবের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে, তবুও থেমে নেই এই সিন্ডিকেটের
মাদক ও জুয়ার আসর। এ নিয়ে এলাকার মানুষ উদ্বিগ্ন। কিন্তু অসহায় সবাই।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‍্যাব মহাপরিদর্শক সহ বিভিন্ন উঁচু-নিচু দপ্তরে অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার। এ যেন কাঠের চশমায় যেনো ধরেছে মরিচা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
রাজধানীর সবচেয়ে বড় জুয়ার আসর রুপনগর থানাধীন ৬নং ট ব্লক বস্তির ভিতরে রহিম সর্দার সিন্ডিকেটের এবং দুয়ারীপাড়া বারেক মিয়ার বস্তির ভিতরে সোর্স শাহজাহান সিন্ডিকেটের দির্ঘদিন যাবত সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত চালিয়ে আসছে শতশত মানুষের সমারোহ জুয়ার আসর আর এই আসরে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটির জুয়া বানিজ্য হয়ে থাকে তবে নেই কোন থানা পুলিশের অভিযান এক পর্যায়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে জুয়ার আসরটি চালিয়ে আসছে ৬নং ট ব্লক বস্তি এবং দুয়ারীপাড়া বারেক মিয়ার বস্তিতে ।

এই কথিত নেতা রহিম ও সোর্স শাহজাহান সিন্ডিকেটের জুয়ার আসরে বিরুদ্ধে একাধিকবার রুপনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে অবগত করে আসছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামক একটি আইন সহায়তা ও তথ্য প্রদানকারী সংস্থা তাদের দাবি রুপনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য ও অবগত করেছেন বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে এস‌এম‌এস ও করেছেন কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সিন্ডিকেট গুলোকে পুলিশ সদস্যদের অভিযানের তথ্য আগে থেকেই দিয়ে থাকে এমনটাই সংস্থাটির পক্ষ থেকে দাবি করে আসছে।

অন্যদিকে১৮ মার্চ রোজ সোমবার একটি সংস্থাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ডিএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবর একাধিক সংবাদপত্রের প্রকাশিত সংবাদ সহ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন সংস্থাটি একাধিকবার ডিএমপি পুলিশের মিরপুর বিভাগের রূপনগর থানা অফিসার ইনচার্জকে মাদক ও জুয়ার আসরটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন উক্ত সংস্থাটি।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,রাজধানীতে জুয়ারীদের কাছে বেশ পরিচিত রহিম ও সোর্স শাহজাহান সিন্ডিকেট এই দুইটি জুয়ার আসরে প্রতিনিয়ত শতশত মানুষের সমারোহ প্রতিদিন সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত অন্তত কোটি টাকার লেনদেন হয় এই দুইটি জুয়ার আসরে ?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ, ৬নং ট ব্লক রহিম সর্দার সিন্ডিকেটের রয়েছে কিশোর গ্যাং অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন কিন্তু তারপর প্রতিবাদকারীর উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন এ জন্য‌ই ভয়ে কেউ কখনো প্রতিবাদ করতে সাহস করে না এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও নেওয়া হয়না রুপনগর থানা পুলিশের সহযোগীতায় চালিয়ে আসছে রুপনগর এলাকাবাসীর তারা আরো আক্ষেপ করে বলেন, থানা পুলিশকে বললে আর কি হবে রুপনগর থানার ডিউটি পুলিশের গাড়ি প্রতিদিন‌ই এসে টাকা নিয়ে যায় এছাড়াও কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পা‌ইনা রহিম সর্দার রয়েছে পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে ।

একাধিক সূত্রে জানা যায়,মাঝে মাঝে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অভিযান হলে রুপনগর থানা থেকে আগেই তথ্য দিয়ে দেয় আসরটি কয়েকঘন্টা বন্ধ রেখে ফের চালু হয়।

এবিষয়ে মুঠোফোনে রূপনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি “বাংলাদেশ টাইমস”কে বলেন, জুয়ার আসরের বিষয়ে তিনি জানেন না ও জুয়ার আসরের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি ।