ভোট ‘জমছে না দেখে’ দিশেহারা সরকার: বিএনপি

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩

 

বাংলাদেশ টাইমস প্রতিবেদক

আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘আমি-ডামি’র ভোট বলে আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। এই নির্বাচন বিএনপিসহ নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত ৬৩টি রাজনৈতিক দল বর্জন করার কারণে জমে না ওঠায় সরকার দিশাহারা হয়ে পড়েছে বলে দাবি করছে দলটি।

 

আজ সোমবার ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের পক্ষে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির আসন ভাগ-বাটোয়ারার “আমি-ডামির” ভোট প্রহসন জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার ডামি নির্বাচন কমিশন। এখন তারা ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

 

সরকারের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই একদলীয় ভোট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যত ভয়ভীতি দেখানো হোক না কেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার পাবেন না। এই ফলাফল ঘোষণার নির্বাচনের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ।’

 

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করলে সাত বছরের জেল হবে, অর্থদণ্ড হবে ও ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করলে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। ইসি মো. আনিছুর রহমানের ঔদ্ধত্য এবং হুমকি-হুংকার দেখে মনে হচ্ছে তিনি অস্তিত্ব ভুলে আওয়ামী সেবাদাসত্ব করছেন। এ ছাড়া প্রতিদিন গণভবন থেকে আসা ফরমান ঘোষণা করছেন।’

 

ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকারভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসহায় ভোটারদের বাধ্য করতে এক অভিনব অমানবিক নির্যাতনের পন্থা প্রয়োগ করছে ভোট ডাকাত সরকার।’

 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ অনেক জেলায় ইতিমধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানি ভাতা, ভিডব্লিউবি, ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, টিআর, ওএমএস, টিসিবির সামাজিক সুরক্ষার উপকারভোগীদের কার্ড জমা নিয়েছে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা।’

 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কিন্তু ভাতার মালিক আওয়ামী লীগ সরকার না। এর মালিক দেশের জনগণ। জনগণের টাকা এবং বিদেশিদের সহায়তায় গরিবের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়। গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে তার এই ভাতার পরিবর্তে নৌকায় ভোট দেওয়ার কর্মসূচির অধিকার কে দিয়েছে? কোনো মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব নয়।’ এই কর্মকাণ্ডের ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে তা রুখে দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।