বছরজুড়ে আলোচনায় মার্কিন ভিসানীতি ও পিটার হাস

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩

 

বাংলাদেশ টাইমস প্রতিবেদক

গণতান্ত্রিক নির্বাচনে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলে গত মে মাসে বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় দেশজুড়ে। রাজনৈতিক মহলে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আলোচনা ছিল কূটনীতিকপাড়াতেও। কৌতূহল তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মাঝে। আবার সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে- বছরের শেষদিকে এসে এমন আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন কেউ কেউ।

 

ভিসানীতির কারণে স্বাভাবিকভাবেই বছরজুড়ে আলোচনায় ছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই বার্তা নিয়েই পিটার হাস সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে সংলাপ ও সমঝোতার অনেক প্রচেষ্টাও চালিয়েছেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত তার এই চেষ্টা সফল হয়নি।

 

পিটার হাসকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকিও এসেছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরীর হুমকির ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এ নিয়ে সারা দেশে তীব্র সমালোচনা হয়। বক্তব্যের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

 

গত ১৬ নভেম্বর ছুটি কাটাতে শ্রীলংকা যান পিটার হাস; ফেরেন ২৭ নভেম্বর। এই ছুটি নিয়ে নানা কৌতূহল সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ ঘটানোর চেষ্টা করছেন পিটার হাস- এমন অভিযোগ তোলে রাশিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগ সমন্বয়ক জন কিরবি বলেন, এ অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।

 

২০২৩ সালের ২৭ মে বাংলাদেশকে নিয়ে ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। পরে সেপ্টেম্বরে ভিসানীতির প্রয়োগ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের কোনো নাম ঘোষণা করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতির প্রয়োগ হয়েছে, তাদের ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে যাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতির প্রয়োগ হচ্ছে, তাদের মধ্যে সরকার ও বিরোধীপক্ষেরও কারও কারও নাম আছে বলে

জানা যায়।